আজ 7 মার্চ ঐতিহাসিক সেই আহবানের দিন। জাতি হিসেবে একত্রিত হওয়ার দিন। উপজেলা প্রশাসন তানোর কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে বক্তব্য শেষ করতে পারলাম না।পূর্বের বক্তা একজন মুক্তিযোদ্ধা চাচার অভিজ্ঞতার কথা শুনে মনে পড়ে যাচ্ছিল আব্বার কথা ।তাঁর মুখে শুনা যুদ্ধ করতে গিয়ে কষ্টময় সৃতির কথা। আম্মারা যুদ্ধের সময় গ্রামে পালিয়ে ছিলেন। আম্মা দলছুট হয়ে হারিয়ে গিয়েছিলন।তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র 11বছর।কানসি ভর্তি পান্তা দিনে একবার খেতে দিয়েছে আশ্রয় দানকারী ।কানসি ভর্তি পানি থাকলেও তলায় ভাত থাকতো সামান্য। আব্বা ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনে কর্মরত অবস্থায় 25 মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে পোষাক ত্যাগ করে পায়ে হেঁটে তিনদিন পরে পাবনা পৌঁছান।নিজ বাড়িতে এসে কাউকে না পেয়ে চরের দিকে গিয়ে খুঁজতে থাকেন। ওখানেই আমার নানার সাথে আব্বার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আব্বা 7নং সেক্টরের মেজর গিয়াসের নেতৃত্বে গোদাগাড়ী চাপাই অঞ্চলে একাধিক অপারেশনে অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধ শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলে অস্ত্র জমাদেন। তারও তিন বছর পর আব্বার সাথে আমার আম্মার বিবাহ হয়।আজ আব্বা পৃথিবীতে নেই। তাঁর রেখে যাওয়া দেশ বেঁচে থাক সগৌরবে।সেই সাথে আমরাও।
জয় বাংলা ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস